নিজেস্ব প্রতিবেদক : সাশ্রয়ী ও উন্নত মানের সেবা দিতে সরকারি হাসপাতালের রোগ নির্ণয় ও ডায়ালাইসিস কার্যক্রম সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে পরিচালনা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ উদ্যোগের প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন দিতে এশীয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), পিপিপি কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, পিপিপি কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মো. আবুল বাসার ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো। এর আগে অনেক মিটিং হয়েছে। এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহায়তায় কোন এরিয়ায় আমরা পিপিপিগুলো করতে পারি-এই উদ্দেশ্যে অনেকবার মিশন এসেছে। আমরা দেখেছি প্রাথমিকভাবে ডায়ালাইসিস এবং ডায়াগনোসিস সার্ভিসের প্রয়োজন আছে। আমরা দ্রুত এবং দীর্ঘ মেয়াদী কী করতে পারি তার জন্য একটা অ্যাসেসমেন্ট হবে। সেই অ্যাসেসমেন্টটা করবে এডিবির একটি টিম। এই মাসের মধ্যে অ্যাসেসমেন্টটা হলে ঢাকা শহরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে করা হবে। এসব হাসপাতালে ডায়াগনোসিস ও ডায়ালাইসিস সেবা পিপিপি হতে পারে কিনা, হলে লাভজনক হবে কিনা, প্রয়োজন আছে কিনা- এই অ্যাসেসমেন্টগুলো করার পর আমরা দ্রুত পার্টনারশিপে যাব। তিনি বলেন, এডিবির সহযোগিতায় হেলথ সেক্টরে পিপিপিতে আরও কী কী কাজ হতে পারে, সে বিষয়েও সমীক্ষা করা হবে। ‘শুধুমাত্র ডায়াগনোসিস কিংবা ডায়ালাইসিস না, অন্যান্য ক্ষেত্রে কমিউনিটি হেলথ, প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস, ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস, মেইনটেনেন্স সার্ভিসেস কী কী হতে পারে সেই বিষয়েও আমরা ভবিষ্যতে অ্যাসেস করে দেখব। তাছাড়া যেসব বিষয়ে পিপিপি করলে লাভজনক হবে, সরকারের ব্যবস্থাপনার তুলনায় ভাল ব্যবস্থাপনা হবে, খরচ সাশ্রয়ী হবে, সেসব বিষয়ে আমরা আস্তে আস্তে পিপিপি করব। সেই উদ্দেশ্যেই আজ প্রথম যাত্রা, প্রথম এমওইউ স্বাক্ষরিত হল। এ সময় অ্যাসেসমেন্টের পর পার্টনার খোঁজা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আরো বলেন, ‘সেটা এডিবি হতে পারে। আবার অন্য বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও হতে পারে। সেজন্য গাইডলাইন হবে, কোন কোন শর্তে আমরা তাদের সঙ্গে এগ্রি করব। পরে সেগুলো তৈরি করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পিপিপি অথরিটির প্রধান নির্বাহী ও সচিব মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী।
Leave a Reply