8th, December, 2023, 3:04 pm

কুমিল্লার বিপক্ষে সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৭৫ রান

নিজস্ব প্রতিবেদক :  নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করে সিলেট। শান্ত ৬৪ ও মুশফিক অপরাজিত ৭৪ রান করেন। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

ব্যাট হাতে নেমে প্রথম ওভারেই ১৮ রান পায় সিলেট। কুমিল্লার ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসার আন্দ্রে রাসেলের বলে দু’টি বাউন্ডারি মারেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। কুমিল্লার ফিল্ডারদের ওভারথ্রো থেকে আসে আরও দু’টি চার। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন সিলেটের আরেক ওপেনার তৌহিদ হৃদয়। রানের খাতা খোলার আগেই কুমিল্লা স্পিনার তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হন হৃদয়। দলীয় ১৮ রানে হৃদয় ফেরার পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। পিঞ্চ হিটার হিসেবে তিন নম্বরে নেমে আজ  সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় ওভারে রাসেলের বলে ইমরুলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৪ বলে ১ রান করা মাশরাফি।

ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। তবে চার নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখে পাওয়ার-প্লেতে সিলেটকে ৪২ রান এনে দেন শান্ত। অষ্টম ওভারে তানভীরের বলে দু’টি চারে ১১ রান তুলে দলের রান ৫০ পূর্ণ করেন শান্ত ও মুশফিক। একই ওভারের তৃতীয় বলে মিড উইকেটে ৩৭ রানে থাকা শান্তর ক্যাচ ফেলেন ইমরুল। মুস্তাফিজুর রহমানের করা ১০ম ওভারে ১টি করে বাউন্ডারিতে ১২ রান তুলেন শান্ত ও মুশফিক। ১০ ওভার শেষে সিলেটের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৭৯।

১১তম ওভারে ১০ রান পায় সিলেট।  ওভারের চতুর্থ বলে এবারের আসরের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। এজন্য ৩৮ বল খেলেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরিতে এবারের আসরে ৫শ রানও পূর্ণ করেন শান্ত। বিপিএলের ইতিহাসে এক মৌসুমে দ্বিতীয়বার কোন ব্যাটার ৫শ রান করলো। এর আগে ২০১৮/১৯ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৪ ম্যাচে ৫৫৮ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রুশো। পেসার মুকিদুল ইসলামের করা ১২তম ওভারে শান্তর ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ রান পায় সিলেট। ঐ ওভারেই সিলেটের রান ১শতে পৌঁছায়। ১৩তম ওভারে শান্তকে বোল্ড করে কুমিল্লাকে ব্রেক-থ্রূ এনে দেন ইংল্যান্ডের স্পিনার মঈন আলি।

৪৫ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৪ রান করেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে মুশফিক-শান্ত ৫৬ বলে ৭৯ রান যোগ করেন শান্ত। এই ইনিংস দিয়ে  ১৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫১৬ রানে এবারের আসর শেষ করলেন শান্ত। যা বিপিএলে এক মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। দলীয় ১০৫ রানে শান্ত ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে ২২ বলে ২৯ রান এনে দেন মুশফিক ও জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল। ১৩ রান করে মুস্তাফিজের শিকার হন বার্ল। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারিতে এবারের আসরের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। এজন্য ৩৫ বল খেলেছেন তিনি। একই  ওভারে সিলেটের শ্রীলংকার থিসারা পেরেরাকে শূন্যতে বিদায় করেন নারাইন।

১৮তম ওভারে দু’বার জীবন পেয়ে ব্যক্তিগত ৯ রানে মুস্তাফিজের বলে আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকার জর্জ লিন্ডে। রাসেলের করা শেষ ওভারে মুশফিকের এক ছক্কায় ১২ রান পায় সিলেট। এতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। কুমিল্লার পক্ষে মুস্তাফিজ ২টি, রাসেল-তানভীর-নারাইন ও মঈন ১টি করে উইকেট নেন।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please