নিজেস্ব প্রতিনিধি : ভাইরাসের তান্ডবে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। সরকারি ছুটি এবং মানুষের ঘরে বসে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সবকিছু বন্ধ করে বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়েছে মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে কিছু এনজিও কিস্তি আদায় করছিল। সেটা নজরে আসায় গত ২২ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সনদপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। এরপরও এ প্রজ্ঞাপনের ভুল ব্যাখা দিয়ে দেশের কিছু এলাকায় ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছিল।যে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য গত ২৫ মার্চ আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অথরিটি। এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এমআরএ থেকে সনদ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্রাহকেরা ঋণ নিয়েছেন প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।. ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি আদায় নিশ্চিত্তে মনিটারিং সেল রয়েছে।অথরিটি ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয় বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। উল্লেখিত সার্কুলার এবং উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে মাঠপর্যায়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য অথরিটি ৯ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করেছে। প্রত্যেক সদস্যের মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণ সেক্টর সম্পর্কিত যে কেউ কোনো কিছু জানতে চাইলে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। ঢাকার এক পরিচালককে সমন্বয়ক এবং আট বিভাগের আট উপপরিচালককে সদস্য করে এ সেল গঠন করা হয়েছে।সেলের সমন্বয়ক হচ্ছেন অথরিটির পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসেন, মোবাইল নম্বর ০১৮১৫৫০৩৯৭৫। এ ছাড়া কমিটির অন্য আট সদস্য হলেন উপপরিচালক কেএএমএম রইসুল ইসলাম ০১৭১৬৪২৭২১৭ (ঢাকা), মো. জিল্লুর রহমান ০১৯১২২৬৭২৭৩ (চট্টগ্রাম), মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ০১৭১২০৮২০৫৭ (রাজশাহী), মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ০১৭১১৪৬১৩০৩ (বরিশাল), মোহাম্মদ কামাল হোসেন ০১৭১০৮০৬৩০৬ (ময়মনসিংহ), প্রদীপ কুমার ঘোষ ০১৭১৬৫১৫২১৫ (রংপুর), মো. আবু বকর সিদ্দিক ০১৭১১৭০৯৪৫৮ (খুলনা) ও মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ০১৫৫২৪৪০৯২১ (সিলেট)।