নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ওয়ারী এলাকায় শনিবার সকাল থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায় এ এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওয়ারী এলাকার টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকাণ্ডসিলেট মহাসড়কের (জয়কালি মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) বাইরের সড়ক, লালমনি রোড, হেয়ার রোড, ওয়ার রোড, র্যাঙ্কিন স্ট্রিট এবং নবাব স্ট্রিটের অভ্যন্তরীণ এলাকায় আজ সকাল ৮টা থেকে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর থাকছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আগমী ২৫ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। এর আগে মঙ্গলবার ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ওয়ারীকে লকডাউনের আওতায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখানে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। সেই সাথে এলাকায় নমুনা সংগ্রহ বুথের পাশাপাশি একটি আইসোলেশন কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে। ‘এখানে সবকিছু বন্ধ থাকবে,’ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, তবে ফার্মেসি ও মুদির দোকান খোলা থাকবে। ওয়ারীতে মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে কাজ করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার বিকালে ওয়ারী পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনবির ফটো সাংবাদিক দেখতে পান, স্থানীয় কমিটির সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে ডিএসসিসির প্রতিনিধিরা এলাকার সব প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে প্রতিরোধক তৈরি করছেন। এর আগে ওয়ারীতে লকডাউন কার্যকর করতে গত ৩০ জুন ডিএসসিসিকে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে তিনটি বাইরের সড়ক ও চারটি অভ্যন্তরীণ সড়ককে লকডাউনের আওতায় আনতে বলা হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ২২ জুন ডিএসসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ড ওয়ারীকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১০ জুন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজাবাজার এলাকায় ২১ দিনের লকডাউন দেয়া হয়, যা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এদিকে, সপ্তাহে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) করা র্যাংকিংয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ ৮ম স্থানে উঠে এসেছে।