ঝালকাঠি প্রতিনিধি : নতুন করে ঝালকাঠিতে আরও একজনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। তবে তিনি শহরতলীর বিকনা এলাকার বাসিন্দা নারায়গঞ্জ ফেরত পুলিশের এসআই। খবর পেয়ে তাঁর বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি ঘর লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। আর এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ৫ জনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. শ্যামলকৃষ্ণ হাওলাদার এবং ঝালকাঠির এনডিসি আহমেদ হাসান। ঝালকাঠি সিভিল সার্জন শ্যামলকৃষ্ণ হাওাদার জানান, কদিন আগে আইইডিসিআরে নমুনা পাঠানো হয়েছিল। আজ রোববার সকালে পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। করোনা আক্রান্ত ওই এসআইকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার। যদি তাঁর অবস্থার অবনতি হয়, তাহলে তাকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হবে বলেও জানান সিভিল সার্জন। ওই এসআই নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৪ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝালকাঠি সদরের বাড়িতে আসেন। এ ছাড়া জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩৭৬ জন। ঝালকাঠির এনডিসি আহমেদ হাসান জানান, গত ক’দিন আগে স্থানীয়দের দেয়া খবরে ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই ব্যক্তির মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখে তার বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে একই পরিবারের শিশুসহ তিন জনের দেহে প্রথম বারের মত করোনায় সনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই পরিবারটি নারায়ণগঞ্জ থেকে সম্প্রতি ঝালকাঠির গ্রামের বাড়ি আসে। আর এ পরিবারে যাতায়াতের ফলে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের দেহে ১৫ এপ্রিল করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয় বরিশাল শের-ইং বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষায়।
এদিকে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তি জেলা সদরের নতুন এলাকার বাসিন্দা। তিনিও নারায়ণগঞ্জ থেকে সম্প্রতি ঝালকাঠি আসেন। গত ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠি সদর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।