রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা আমন ফসল ঘরে তোলার পাশাপাশি আগাম আলু চাষাবাদে ব্যাপক ব্যস্ত সময় পার করছেন। যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের। চলতি মৌসুমে শেষ সময়ে কোল্ড স্টোরে রাখা আলুর আশানুরূপ দাম পেয়ে কৃষক আবারও আলু রোপনে ঝুঁকে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন জমিতে আমন ধান কাটা শুরু হওয়ায় ওইসব জমিতে আলু চাষাবাদ চলছে। অনেকে আলু রোপনে মাঠ পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ অঞ্চলের মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় তুলনামূলক অধিক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু চাষ করে থাকেন চাষিরা। অন্যান্য রবি ফসলের চেয়ে আলু লাভজনক ফসল হওয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলের কৃষকরা আলু চাল করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ওই একই পরিমান জমিতে আলু চাষাবাদ করা হবে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ধারণা করছে। কৃষকরা তাদের সংরক্ষিত আলু বীজ এবং সিসিডিবি, ব্রাক ও বিএডিসির সংগ্রহ করা বীজ নিয়ে আলু রোপন করছেন।বর্তমানে যেসব জাতের আলুর বীজ কৃষকরা রোপন করছেন এরমধ্যে রয়েছে, ডাইমন্ড, কাডিনাল, দেশীয় জাতের লাল পাকড়ী ও গ্যানোলা বীজ উল্লেখযোগ্য। বেশি ফলনের আশায় কৃষকরা এবার এসব বীজ সংগ্রহ করে রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা বলছেন, আমন ধানের ফলন আশানুরূপ হচ্ছে। কিন্তু ধানের দাম না থাকায় উৎপাদন খরচ উঠছে না। এরপরও হাল ছাড়ছেন না কৃষক বলে জানালেন আমশো গ্রামের আলু চাষি মামুন মোল্লা ও নারায়নপুর গ্রামের রাব্বানী। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম জানান, আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের পর ওই জমিতে আলু চাষাবাদ শুরু হয়েছে। আলু চাষের জন্য কার্তিক মাসের ১০ থেকে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তা পর্যন্ত উপযুক্ত সময়। এই সময়ের মধ্যে আলু চাষের জন্য কৃষকরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রোপণ শুরু করেছেন। লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে আলু চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও বীজের কোনো সমস্যা নেই।
Leave a Reply