6th, December, 2023, 12:44 pm

আবেদনের স্তূপ সীমিত আকারে ইস্যু হচ্ছে পাসপোর্ট

বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে (ডিআইপি) বিপুল পরিমাণ আবেদনের স্তূপ জমেছে। তার মধ্যে ৩০ ভাগ প্রবসীদের আবেদন। মূলত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে অনেক পাসপোর্ট গ্রহীতাই সাধারণ ছুটি ঘোষণার অনেক আগে আবেদন করেছেন। কিন্তু সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে যারা পুনরায় পাসপোর্ট প্রদান (রিইস্যু) ও নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন, তাদের পাসপোর্ট প্রদান বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র প্রবাসী ও জরুরি প্রয়োজনে রিইস্যুর (পুনরায় আবেদন) আবেদনকারীদের পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে। ৬৬ দিন পাসপোর্ট অফিস বন্ধ থাকায় প্রায় ২ লাখ আবেদনের (নতুন পাসপোর্ট ও রিইস্যু) পাসপোর্ট তৈরিতে জট লেগেছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওসব পাসপোর্ট প্রদানের বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডিআইপি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি দুই ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট আবেদন বন্ধ রয়েছে। শুধু সীমিত আকারে পাসপোর্ট রিইস্যু করা হচ্ছে। কারণ নতুন পাসপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট গ্রহীতার ছবি তোলা, ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইরিশ পিকচারসহ বেশ কিছু কার্যক্রম রয়েছে, যেগুলোতে গ্রহীতাকে সরাসরি অফিসে আসতে হবে। কিন্তু এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করার সময় করোনা ছড়িয়ে যাত্তয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তা সম্ভব নয় বলেই নতুন পাসপোর্টের আবেদন এখনো বন্ধ রয়েছে। সূত্র জানায়, বহিগর্মন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সকল আঞ্চলিক অফিস করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত ছুটির কারণে ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় অনলাইনে আবেদন করাও বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে বিপুলসংখ্যক পাসপোর্ট করোনা সংকটের আগেই গ্রাহকদের দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু অফিস বন্ধ হয়ে যাত্তয়া তা আর দেয়া হয়নি। ফলে নতুন পাসপোর্ট ও রিইস্যু করা দুই লাখ আবেদন জমা পড়ে থাকে। তবে বর্তমানে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে প্রবাসীদের আবেদন করা পাসপোর্টগুলো রিইস্যু করা হচ্ছে। তবে ওই কাজ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা হচ্ছে। আগে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিন ২০ হাজার পাসপোর্ট বই বিতরণ করা হতো। কিন্তু করোনার ভাইরাসের প্রভাবে পাসপোর্ট বই ছাপানোর কাজটিও কয়েকটি শিফটে ভাগ করে অল্প লোকবল দিয়ে চালানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী এবং যারা স্কলারশিপে পড়াশুনা করতে যাবেন- তাদের পাসপোর্ট রিইস্যু করা হচ্ছে। আবার শান্তি মিশনে অংশ নিতে যাওয়া বা কোনও শিক্ষার্থী স্কলারশিপ পেয়েছেন কিন্তু পাসপোর্ট নেই, তাদের নতুন পাসপোর্ট বিশেষ ব্যবস্থায় দেয়া হচ্ছে। সূত্র আরো জানায়, ২৫ মার্চের আগে যেসব প্রবাসীরা বাংলাদেশে এসেছিলেন, তাদের পাসপোর্ট রিইস্যু করা সম্পন্ন হয়েছে। আর যারা জরুরি চিকিৎসার জন্য নতুন পাসপোর্ট বা রিইস্যুর আবেদন করেছিলেন- সেসব পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। সাধারণ ছুটির মধ্যেও পাসপোর্ট ছাপানোর কাজ অব্যাহত ছিল। প্রবাসীদের রিইস্যু করা পাসপোর্ট তৈরি করে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে ফ্লাইট সার্ভিসে জটিলতার কারণে পাসপোর্টগুলো পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। আর সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে প্রবাসীদের যেসব আবেদন ছিল সেগুলোও সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রবাসীদের পাসপোর্টের মেয়াদোত্তীর্ণের আগেই তার আবেদন অনুযায়ী রিইস্যু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডিআইপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ জানান, করোনার এই সংকটের মধ্যেও পাসপোর্ট প্রিন্টের কাজ চলছে। যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হচ্ছে।

Comments are closed.

     More News Of This Category

follow us on facebook page

error: sorry please