মীর আলাউদ্দিন : এক সময়ের প্রভাবশালী সোর্স ভাষানটেক এলাকার আতংঙ্ক ফর্মা কিরণ। নিরিহ লোকজনকে হয়রানী করাটাই তার পেশা ছিল। স্থ্নীয় জনগণের তোপের মুখে ভাষানটেক এলাকা ছাড়তে হয় তাকে। পরে শুরু করেন জাল টাকার ব্যবসা। ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। মামলা হতে হতে তার কপালে জোটে বাংলাদেশের একাধিক থানায় একাধিক মামলা। নিস্বতেজ হয়ে থাকেন বেশ কিছু দিন। নতুন আবাস্থল গড়ে তোলে বাউনিয়াবাঁধে। সেখানে চালাতে থাকে নতুন কৌশলে ধান্দাবাজি। দিন কয়েক আগে বাউনিয়াবাঁধ বেড়িবাধে অবস্থিত আল ইসলামের অফিসে কিরণ নিজেই চোর ধরে বেদম পেটাতে থাকে। লুটে নেয় চুরির অপবাদ দেওয়া ছেলেটির পরিবারের সব কিছু। ঘটনাস্থলে উৎসাহী হয়ে নিজ মোবাইলে ছবি তোলে শহিদ নামের একজন। আর এতই ক্ষিপ্ত হয়ে কিরণ শহিদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে সাজোরে মেঝেতে আছড়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং ঝাড়– ও লাঠি দিয়ে বেদম পিটাতে থাকে। সংবাদ পেয়ে শহিদের বোন শিউলি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তার উপর চড়াও হয় কিরণ। শহিদের বোন শিউলির শরীরে বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাতাহাতি করে ও তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইর লুটে নেয় কিরণ। স্থানীয়রা জড় হলে তাদের তোপের মুখে কিরণ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বউ রুমাকে দিয়ে নতুন নাটক সাজায়। থানায় কিরন তার বউকে পাঠিয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নেয় আগে ভাগেই। অন্য দিকে আহত শহিদের পাশে চিকিৎসা খরচ দেবার অপরাধে কিরণ তার বউকে দিয়ে আমির মোল্লা নামের একজনকে ওই মামলায় জড়ানোর উদ্দ্যোগ নেয়। জানা যায় কিরনের বউ রুমা তার বোন ও তার দুই ভাইয়ের নামে রয়েছে এলাকায় বিস্তর অভিযোগ। রুমার ভাই জয়ের নামে পলাশনগর এলাকার দুটি গণধর্ষন মামলা রয়েছে বলে এলাকা বাসী জানান। আমির মোল্লার কারণে তারা এলাকায় অনেক অপকর্ম করতে পারে না বিধায় আমির মোল্লার নামে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানান আমি মোল্লা। এ বিষয়ে আমির মোল্লা বলেন একজন মানুষ হিসেবে অন্যায় কাজে বাধা দেওয়া আমার দ্বায়িত্ব। আর কিরণ ও তার শশুড় বাড়ির লোকজনের কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কে এই কিরণ? কি তার পরিচয়? তার প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপকর্মের আরো ফিরিস্তি জানতে চোখ রাখুন দিক দর্শনে…………