মীর আলাউদ্দিন : আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে উত্তরের ২,৩,৫ এর সাবেক মহিলা কাউন্সিলর ( সংরক্ষিত আসন – ৩ ) মেহেরুন্নেসা রয়েছেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। দল মত নির্বিশেষে সকলের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয় একজন মানুষ। এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের পছেন্দের প্রার্থীর তালিকায় আবারো রয়েছেন এই মেহেরুন্নেসা। বি এন পি সমর্থিত এই কাউন্সিলর দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাউন্সিলর হিসেবে রয়েছেন। তার এই জনপ্রিয়তার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই ২,৩,৫ ওয়ার্ডের মানুষকে নাগরিক সেবা দিতে কোন ত্রুটি করিনি কখনোই। আমার কাছে সেবা নিতে আসা ব্যক্তি কোন দল করে তা দেখিনি, শুধু দেখেছি সে আমার ওয়ার্ডের অন্তভুক্ত কিনা। সকল সার্টিফিকেট বা প্রত্যায়নপত্র নিতে আসা মানুষকে কোন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। হ্যাঁ আমি বি এন পি দল করি কিন্তু কাউন্সিলর তো ওয়ার্ডের সবার জন্য। তিনি আরো বলেন যখন এই বয়সে আমি ১৬ টা মামলা খেয়েছি পালায়ে বেড়িয়েছি তখনও আমি তাদের সেবা দিয়ে গেছি। কখনো কোন বস্তিতে, কখনো ক্যাম্পে বা কখনো কোন বাসা বাড়ির ছাদে লুকিয়ে লুকিয়ে থেকেও আমার কাছে সেবা নিতে আসা মানুষ গুলোকে তাদের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সই করে অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেবা থেকে বঞ্চিত করিনি দেখেই তাদের ভালবাসা পেয়েছি তাদের সমর্থনে বারবার কাউন্সিলর হয়েছি। মেহেরুন্নেসা বলেন, কেন আমাকে মানুষ ভোট দিবে না সব কাউন্সিলররাই কোন না কোন অপরাধে যুক্ত কেই চাঁদাবাজি করে তো কেউ দখলবাজি করে বা কেউ অবৈধ্য ব্যবসা করে আমি মেহেরুন্নেসার একটা কোন দখলবাজি, চাঁদাবাজিতে নেই বা আমার পরিবারের কোন সদস্য অন্যায় কাজের সাথে যুক্ত এমন আমার ২,৩,৫ এর জনগণ কখনো পায়নি ইনশাল্লাহ আমি মরার আগ পর্যন্ত কেউ পাবেও না। হ্যা আমি দল করি সেটা সবার গণতান্ত্রিক অধিকার। অনেক রাস্তায় আমার দেখাশুনা করার কারণে মানসম্মত হয়েছে। সবাই জানে ক্যাম্প মানেই মাদক সহ একাধিক অপরাধের আখড়া। আমি বার বার তাদের বুঝিয়েছি প্রয়োজনে পুলিশের র্যাবের সহায়তা নিয়ে পরিবেশ সন্দুর করেছি যা আজ সকলের কাছে দৃশ্যমান। বেগুন টিলা বস্তির মানুষ প্লাষ্টিক টাঙ্গিয়ে শুয়ে থাকতো আমি বিভিন্ন এনজিওসহ বিভিন্ন ভাবে তাদের সহায়তা করে সন্দুর পরিবেশে এনেছি। আমার ওয়ার্ডের ক্যাম্পের মানুষ ৮ ফিট একটি ঘরের মধ্যে ৬ জন ৯ জন এক সাথে মানবেতর জীবন যাপন করে এবার নিবাচিত হয়ে তাদের সুন্দর আবাসনের ব্যবস্থা করতে সরকারসহ সবার কাছে সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবো। আমি কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় কারো উপর কোন দলীয় প্রভাব পড়ে নাই বা আমার দ্বারা কোন ক্ষতিগ্রস্থ হয় নাই কিন্তু অন্য কেউ নির্বাচিত হলে কি হবে তা এলাকাবাসী বুঝে। আর জনগণ বুঝে শুনেই তাদের রায় আনারস মার্কায় ১লা ফেব্রুয়ারী দিবে।