Shakawat Hossain Koish : গতকাল প্রায় রাত বারোটার সময় আমার সন্তানপ্রসব বেদনারত ভাগ্নীকে নিয়ে ত্রিশাল হাসপাতালে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ করে নার্স ও আয়া ঘুমাচ্ছে, ডেকে উঠালাম আমাকে বাইরে থেকে গ্লাবস কিনে আনতে বলে, এসে দেখি নার্স বলছে,সিজার লাগবে এখানে হবনা ময়মনসিংহ নিয়ে যান বলে আমাদের রেখেই দরজা বন্ধ করে দেয়,বাদ্য হয়ে রাত প্রায় একটার সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে সকাল সাতটা পর্যন্ত কোন ডাক্তার পাইনি,দুজন নার্স ছিল আমাকে দুটো গ্লাবস কিনে আনতে বল্ল,গ্লালাবস কিনে এসে দেখি একজন খৃষ্টান নার্স আছে সে সব রোগির সাথে খারাপ ব্যাবহার করছে, আড়াইটার সময় দেখি সেও তিনটি চয়ার একসাথে করে শুয়ে ঘুমাচ্ছে একটানা ছয়টা পর্যন্ত ঘুমালো, কোন রোগির লোক তার কাছে কিছু জানতে চাইলেই দমক দিচ্ছে, সব রোগীই অসহায় অবস্থায় কেউ টলিতে, কেউ মেঝেতে, কেউ আপনজনে কোলে শুয়ে কাতরাচ্ছে, সকাল সতটার পর একজন ডাক্তার আসলে খুব অনুরোধ করে বল্লাম ম্যাডাম রাত বারটা থেকে অপেক্ষায় আছি কোন ডাক্তার আাসেনি,যদি দয়া করে আমার রোগীটা দেখতেন , ডাক্তার বল্লেন ভিতরে নিয়ে আসেন,ভিতর থেকে বাইরে এসে ছোট ভাগ্নি বল্লো, ডাক্তার বলেছে বাচ্চা পেটের ভিতর পায়খানা করে দিয়েছে দ্রুত সিজার করা দরকার, আমি দৌড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বল্লাম ম্যাডাম এত আশা নিয়ে ভালো চিকিৎসার জন্য এখানে আসলাম কিন্তু কোন চিকিৎসাই পেলামনা,ডাক্তার বল্ল আমি কি বসেছিলাম,আমি বল্লাম এখন কি করতে পারি,ডাক্তার বল্ল,আপনাদের ব্যপার রোগী রাখতেও পারেন যেখানে ইচ্ছা নিতেও পারেন আমাদের এখানে বারোটার পর সিজার হবে দুটা- তিনটা বাজতে পারে সেক্ষেত্রে বাচ্চার কোন সমস্যা হলে আমাদের দোষতে পারবেননা, বাদ্য হয়ে হাসপাতালের কাগজপত্র জমারেখে বাইরে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করে সাথে সাথেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মেয়ে বাবুর জন্ম হয়, এখন আল্লাহর রহমতে মা-মেয়ে দুজনই সুস্থ, দোয়া চাই সকলের নিকট। এই যদি সরকারি হাসপাতালের অবস্থা হয় তাহলে এই মহামারিতে করোনা আক্রান্ত রোগীরা কেমন সেবা পাচ্ছে?